ব্লগের আর্টিকেলে এসইওর ব্যবহার কিভাবে করবেন ? (SEO bangla tutorial)

প্রিয় বন্ধুরা, আপনার সবাই কেমন আছেন আশা করি নিশ্চয়ই ভাল আছেন, আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যা🎀চ্ছি, আজকের আলোচনার মূল বিষয় হল ব্লগের আর্টিকেলে সইওর ব্যবহার কিভাবে করবেন?

আমরা সবাই জানি যে যে ব্লগে পোস্ট লেখার সময় “অন পেজ এসইও” খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগ আর্টিকেল লেখার সময় যদি আপনি এসইও না করেন, তাহলে আপনার আর্টিকেল গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় দেখানো হবে না।

এতে, আপনি আপনার ব্লগে সার্চ🌟 ইঞ্জিন থেকে বিনামূল্যে অসংখ্য ট্রাফিক বা ভিজিটর পাওয়ার সুযোগ হারাবেন।

অবশ্যই আমি আপনাকে “এসইও কি এবং কিভাবে করতে হবে” এ সম্পর্কে আমার আগের পোস্টে ভালভাবে ব্যাখ্যা করেছি।

কিন্তু তারপরও এই আর𓃲্টিকেলে আমি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করব কিভাবে ON PAGE SEO ব্যবহার করতে হয়, আপনার ব্লগে আর্টিকেল লেখার সময়। (On page SEO bangla tutorial step by s🌄tep)।

ব্লগের আর্টিকেলে search engine optimization করাটা বিশেষকরে keywords এবং এর ব্যবহারের কৌশলের ওপরে নির্ভর করে। এবং তাই, আর্🔜টিকেলে সঠিক ভাবে on page seo করার আগে আপনাদের কিছু কথা জেনে নিতে হ🍒বে।

ব্লগের আর্টিকেলে এসইওর ব্যবহার কিভাবে করবেন

SEO কি ?

এসইও কি তা হল এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( ) হল এমন একটি প্রক্রিয়া বা কৌশল যার মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্লগ বা ব্লগের পোস্ট গুলিকে গুগল সার্চের প্রথম স✤ার্চ রেজাল্ট পেজে আনতে✤ পারি।

এতে, যখন কোনো ব্যক্তি Google-এ আপনার ব্লগের সা🎶থে সম্পর্কিত কিছু অনুসন্ধান করে, তখন Google তাদের নিজস্ব ফলাফল পৃষ্ঠায় আপনার ব্লগ পোস্টটি দেখাবে।

এতে 𓄧আপনি গুগল সার্চ থেকে অর্গানিক ট্রাফিক বা ভিজিটর পাবেন। শুধু গুগল সার্চেই নয়, আপনি ইয়াহু বা বিং (Bing ) সা🦂র্চ ইঞ্জিনের জন্যও SEO করতে পারেন।

Keywords কি ?

কীও꧙য়ার্ড হল একটি ব্লগ বা ব্লগ পোষ্টের বিষয় সম্পর্কিত শব্দ। সহজ কথায়, আপনি যে বিষয়ে একটি পো𒅌স্ট লিখছেন এবং সেই বিষয়ের সাথে যুক্ত শব্দগুলিকে keywords বলা হয়।

মনে রাখবেন, আমরা সবসময় কিওয়ার্ডের উপর নির্ভর করে Google বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে আমাদের পোস্টগুলিকে র‍্যাঙ্ক (rank) করার চেষ্টা করি।

যখন লোকেরা Google বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পোষ্টের সাথে সম্পর্কিত একটি কীওয়ার্ড টাইপ বা অনুসꦑন্ধান করে, তখন সার্চ ইঞ্জিন তাদের অনুসন্ধান ফলাফলে আপনার পোস্টটি দেখাবে।

এতে, আপনার পো🍒স্টটি গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে বিনামূল্যে ট্রাফিক বা ভিজিটর পাবে। তাই অবশ্যই মনে রাখবেন যে আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন থেকে বিনামূল্যে ট্র্যাফিক পেতে চান, তবে ব্লগ পোস্টে কীওয়ার্ড এবং keywords ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Keyword density কি

keyword কি উপরে আপনাদের মাঝে ব্যাখ্যা ক🥃রা হলো, এবার আসুন জেনে নিই keyword density কি তা ভালোভাবে জেনে নেই।

keyword density হল একটি সংখ্যা বা পরিমাণ💜 যার উপর নির্ভর করে আমরা পোস্টে কীওয়ার্ড ব্যবহার করি।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি “SEO BANGLA TUTORIAL”-এ একটি পোস্ট লিখছেন এবং 🍌আপনার কীওয়ার্ডগুলি হল “SEO IN BANGLA”, “কিভাবে SEO করবেন” বা “SEO নিয়মাবলী”।

এখন, আপনি পোস্টে 🦩টিকে থাকা KEYWORDSগুলি কতবার বা কতবার উল্লেখ করবেন বা পোস্টে আপনি কতবার KEYWORDS লিখবেন তাকে KEYWORD DENSITY বলে।

Keywords density অনুসারে পোস্টগুলিতে কীওয়ার্ড ব্যবহার ক𒆙রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি আপনার মন মত ভাবে পোস্টগুলিতে𝓰 কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে থাকেন তবে Google search algorithm আপনার ব্লগ বা পোস্টটিকে প্যানালাইজ (panalize) করতে পারে। এতে, আপনার পোস্টটি আর Google search প্রদর্শিত হবে না।

তাহলে অবশ্যই, একটা কথা ভালোভাবে মনে রাখবেন আর্টিকেলে keyw🍌ords যতটুকু জরুরি ঠিক ততটাই ব্যবহার করবেন এবং keywords density কমপক্ষে মিౠনিমাম ১% থেকে ম্যাক্সিমাম ১.৫% অব্দি রেখে কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।

ব্লগের আর্টিকেলে SEO র ব্যবহার কিভাবে করবেন

আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি, On page Seo বা আপনার নি🔴জের ব্লগে পোস্ট লেখার সময় করা এসইওর সবথেকে জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল কীওয়ার্ড এবং তার ব্যবহার।

আপনি যদি আপনার ব্লগে সঠিক ভাবে পোস্ট লেখার সময় এসইওর ব্যবহার ঠিকঠাকভাবে করেন, ত🎀াহলে আপনার ৭০% on page seo বা SEO ব্যবহার এখানেই হয়ে যাবে।

তো চলুন, নিচে আমরা জেনে নিবো আপনার আর্টিকেলে এসইও এর ব্যবহার কিওয়ার্ড দ্বারা এবং ജকিওয়ার্ডের বাইরে আর্টিকেলে কি কি SEO করা উচিত।

১. আর্টিকেলের টাইটেল (Title) এ keyword ব্যবহার।

অবশ্যই, মনে রাখবেন যে আপনি যে পোস্টটি লিখছেন 🅠তার সম্পূর্ণ বিষয় আপনার পোষ্টের শিরোনাম পড়লেই বোঝা যায়। পোস্টটির একটি সহজ এবং বর্ণনামূলক শিরোনাম দিন।

এটি ছাড়াও, পোষ্টের টাইটেল বা শিরোনামে আপনার লক্ষ্য কীওয়া💯র্ডগুলি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। এটি শুধুমাত্র আপনার টাইটেল পড়ে আপনার পোস্টটি কী তা বুঝতে Google সার্চ এবং দর্শকদের সাহা𝓀য্য করবে ৷

আপনি আমার পোষ্টের শিরোনামে দেখতে পাবেন যে আমি শেষে “SEO bangla tutorial” শব্দটি লিখেছি। কারণ, এই শব্দটি আমার টার্গেটেড কীওয়ার্ড তাই টাইটেলে শব্দটি লিখেছি।

২. আর্টিকেলের URL Address এ keyword ব্যবহার।

আপജনি ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার ব্যবহার করুন না কেন, আপনি পোস্টটি লেখার🍒 সময় পোস্ট এর URL Address এডিট (edit) করার option পাবেন।

সরাসরি পোষ্টের URL ঠিকানাটি সর্বদা🅰 ছোট রাখুন এবং এতে আপনার লক্ষ্য কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

৩. টার্গেট করা keyword এর সঠিক ব্যবহার।

আমি আগেই বলেছ𓄧ি যে পোস্ট লেখার সময় অন পেজ এসইও বা এসইও এর জন্য কীওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার খুব൩ই গুরুত্বপূর্ণ।

মনে রাখবেন, আপনি পোস্ট লক্ষ্য করে যে কীওয়া๊র্ড লিখছেন তা “আর্টিকেলের প্রথম প্যারাগ্রাফ (paragraph), আর্টিকেলের শেষ প্যারাগ্রাফ এবং আর্টিকেলের মাঝে মাঝে” এক দুইবার অবশই ব্যবহার ত🐬া কিন্তু আপনি করবেন।

এতে গুগল সার্চ এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন সহজেই আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু বুঝতে পারে এবং সার্চ রেজাল্টে আর্টিকেলটিকে সঠিকভাবে র‍্যাঙ্ক করতে পারে।

৪. আর্টিকেল কমেও ১৫০০ শব্দের (words) ভিতরে লিখবেন।

বন্ধুরা, একটা বিষয় ভালোভাবে মনে রাখবেন, আপনার  নিজের ব্লগ𝔍ে লেখা পোস্ট সব সময় বরো এবং ম্যাক্সিমাম ১৫০০ শব্দের ভেতরে লিখবেন। যদি আপনি আরো পারেন তাহলে ২০০০ থেকে ৩০০০ শব্দ꧃ের ভেতরে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন।

কারণ, আপনি যেকোনো বিষয়ের উপরে কোন একটি বিষয়ে যতটা detailed এবং গভীর ভাবে পোস্ট লেখবেন ততটাই আপনার লেখা পোস্ট Google এবং অন্য সার্চ ইঞ্জিন꧂ ভালো পাবেন।

তাই, আপনি যখন কোন বিষয়ে লম্বা এবং বেশি শব্দের গভীরভাবে পোস্ট লিখলে সেই পোষ্ট অন্যদের লেখা পোষ্ট থেকে বেশি মান (value) পাবে এবং সেই পোস্ট Google সার্চ থেকে বেশ🐭ি বেশি ট্রাফিক বা ডিজিটর পাওয়া যাবে।

তাই, যদি আপনি নিজেরಞ আর্টিকেলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভালো বা অর্গানিক ট্রাফিক পেতে চান তাহলে আপনার পোস্ট লম্বা এবং গভীর ভাবে লিখᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚবেন ম্যাক্সিমাম ১৫০০ শব্দের।

৫. আর্টিকেলে ছবি (Image) ব্যবহার করবেন।

আপনাকে মনে রাখতে হবে যে নিজের লেখা আর্টিকেলে মেক্সিমাম যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সে বিষয়ে একটি হলেও ছবির ব্যবহার অবশই করবেন। এ এস꧙ইওর দিক দিয়ে অনেক জরুরি এবং লাভজনক।

ইমেজ বা পিকচার আপলোড করার পর তার “ALT TAG”🎶 এ আপনার স🅠েই টার্গেট করা keyword অবশই অবশ্যই দিতে হবে।

৬. H tag আর্টিকেলে অবশই ব্যবহার করবেন।

💙আপনি কি জানেন যে H ট্যাগ যেমন H1, H2, H3 এবং H4 এসইওর দিকদিয়ে অনেক বেশি জরুর🉐ি? মনেহয় বিষয়টা আপনি ভালোভাবে জানেননা।

তাহলে এখান থেকে পুরোপুর বিষয়টা ভালোভাবে জেনেনিন, নিজের আর্টিকেলে লেখার সময় আপনি অবশ্যই এগুলো কাজ ভালোভা🍨বে করবেন যেমন- একটি H1 TAG একটি 🔜H2 TAG এবং কয়েকটি H3 আর H4 TAG ব্যবহার করা অনেক বেশি  জরুরি।

H TAG আমাদের লেখা আর্টিকেল ভিসিটর্স ও ভিজিটরস এবং সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য পড়তে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে এবং লেখাপড়ার সময় সহজ করে দেয় এবং এতে করে আপনার লেখা সেই আর্টিকেল𝓡 দেখতে স♓্পষ্ট এবং সহজ হয়ে ওঠে।

আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন এবং আপনার সেই নিজের আর্টিকেলে ব্যবহার করার সময় maximum একটি h tag এ নিজের টার্গেট করা keyword অবশই তা আপনি ব্য𒐪বহার করবেন। এতে করে আপনার সার্চ ইঞ্জিন আপনার সেই আর্টিকেলের বিষয়টি সহজে তা বুঝতে পারবে।

৭. Inter linking অবশই করবেন।

আপনি কি জানেন inter linking কি এবং এ এসইওর জন্য কতটুকু জরুরি কি না ? তাহলে এখন আপনি বিস্তারিত তথ🐠্য ভালোভাবে জেনেনিন।

Interlinking এসইওর জন্য অনেক অনেক জরুরি এবং ৭০% লোকেরা এর ব্যবহার করে না যার জন্য তাদের লেখা পোস্ট Google এবং অন্য sea🅠rch engine রেজাল্ট এ rank করতে পারেনা।

তাই, আপনি যদি নিজের ব্লগে লেখা পোস্ট✤ে সঠিক ভাবে se𒁃arch engine optimize (seo) করতে চান, তাহলে আর্টিকেলে interlinking কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই করতে হবে।

Inter linking কি ? কিভাবে করবেন ?

এখন Interlinking এমন একটি art বা কলা এর দ্বারা আমরা আমাদের লেখা সেই ব্লগের একটি আর্টিকেল আরেকটি আর্টিকেলে URL link এর মাধ্যমে ✃তা যোগ বা connect করতে পাജরি।

যেমন, আপনি হয়তো উপরের দিকে একটু ভালো করে খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন যে আমার এই পোষ্টের ওপরে দুইটা লি🅷ংকিং করেছি আপনি হয়তো দেখতে পারবেন, আমি দুইটা লিংক (link) দিয়েছি।

সেই দেয়া লিংক গুলো আমার এই ব্লগেই লেখা অন্য🦄 আর্🍎টিকেলের লিংক তা আমি আপনাদের দেখানোর জন্য যোগ করে দিয়েছি।

আপনি আপনার ব্লগে যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন ঠিক সেই বিষয়ে য൩দি আপনার ব্লগ পোস্টে অন্য কোনো আর্টিকেল থাকে তাহলে সেই আর্টিকেল গুলির লিংক (link) লেখা আর্টিকেলে অবশই দিয়ে দিবেন।

মূলত এটাই হল inter linking এবং এ এসইওর জন্য অনেক ব🌌েশি জরুরি।

বন্ধুরা, তাহলে আমরা এখন আমাদের s𝓀eo bangla tutorial থেকে আপনি হয়তো অবশই ভালোভাবে বুঝেগেছেন যে ব্লগে আর্টিকেল লেখার সময় seo (এসইও) কিভাবে করবেন বা on page seo র নিয়ম কি।

আমি যেভাবে করে আপনা﷽দের বলেছি আপনি যদি ঠিক এভাবে করে এসইও করে পোস্ট লিখেন তাহলে অবশই আপনাদের আর্টিকেল Google সার্চ রেজাল্টে top ৫ এর লি🔴স্টে আপনার আর্টিকেল rank করবে।

ব্লগের আর্টিকেলে এসইওর ব্যবহার কিভাবে করবেন আমাদের লেখা আর্টিকেল আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেনꦜ, ধন্যবাদ?

Leave a Comment